ওয়েব ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের (India) দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে ব্রিটেন (Britain)। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার (Kier Starmer) ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর এবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতেও বড় পদক্ষেপ নিল ইউরোপের এই শক্তিধর দেশ। স্বাক্ষরিত হল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিও (India-Britain Trade Deal)। মুম্বইয়ে ভারত-ব্রিটেন সিইও ফোরামের বৈঠকে দুই দেশের প্রধান বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বইয়েই ভারত-ব্রিটেন সিইও ফোরামের বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বাজার সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেন। বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায় ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ, আগামী পাঁচ বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য করার পরিকল্পনা করছে দুই দেশ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতকে সমর্থন! বড় ঘোষণা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এ বছর ভারত ও ব্রিটেনের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। জুলাই মাসে লন্ডন সফরের সময় আমরা ঐতিহাসিক ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট (CETA)’ স্বাক্ষর করেছি। এটি শুধুমাত্র একটি বাণিজ্য চুক্তি নয়, এটি দুই দেশের ভাগ করা অগ্রগতি, সমৃদ্ধি এবং জনগণের সংযোগের এক রোডম্যাপ।”
অন্যদিকে কিয়ের স্টারমার বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে ফিনটেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমাদের নতুন বাণিজ্য চুক্তি এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি শুধু বাণিজ্যে নয়, সংস্কৃতি, শিক্ষা, খেলাধুলা ও প্রযুক্তিতেও।”
‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট CETA কী? মোদির কথা ‘C’-এর অর্থ Commerce & Economy বা বাণিজ্য অর্থনীতি, ‘E’ মানে Education ও People-to-People Relations বা শিক্ষা ও পারস্পরিক নাগরিকদের সম্পর্ক, ‘T’ মানে Technology ও Innovation বা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী,এবং ‘A’ মানে Aspiration বা আকাঙ্ক্ষা। এই সমস্ত ক্ষেত্রে এবার ভারত ও ব্রিটেন এবার একযোগে কাজ করতে চলেছে।
দেখুন আরও খবর: